স্টাফ রিপোর্টার: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষক আব্দুল খালিক চৌধুরী (৫৬)কে লজ্জাস্থানে লাথি দিয়ে আঘাত করে আহত করেন একই গ্রামের মালম মিয়া (৩০)।সোমবার ২৮ জুন বিকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধপুর ইউপির ধলাইপার গ্রামে উক্ত ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে জানাযায়, মালম মিয়া তার বাড়িতে গাড়িকরে বালু নিচ্ছেন। যাতায়াতের রাস্তা সরু হওয়ায় বালু বোঝাইকারী গাড়ি স্কুল শিক্ষক আব্দুল খালিকের বাড়ির সীমানা বেড়া ভেঙ্গে দিয়ে বালু নিয়ে চলে যায়। গাড়িটি ফেরার পথে আব্দুল খালিক গাড়িকে ক্ষতিপুরণ দিয়ে যেতে বলেন। তখন মালম মিয়া তার পরিবারসহ ভাড়াকরা আরো কিছু লোকজন নিয়ে এসে আব্দুল খালিকের উপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে মালম মিয়াসহ সঙ্গীয় সকলে স্কুল শিক্ষক আব্দুল খালিককে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন। আব্দুল খালিক চিৎকার করলে মালম মিয়া তার লজ্জাস্থানে সজোরে লাথি দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পরেযান। তাকে বাঁচাতে আসলে স্কুল শিক্ষকের ভাইসহ আরো পাঁচজন আহত হন। প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।স্কুল শিক্ষক আব্দুল খালিক জানান, আমি সমাজের নিরিহ নাগরিক। মালম মিয়া ও তার পরিবার আমার প্রতিবেশি। বহু বছর ধরে তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। তাদের সাথে জমি জমা ও আমার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা নিয়ে পূর্বহতে বিরোধ চলে আসছে। আজকে তারা পুর্ব পরিকল্পনাক্রমে আমাকে ও আমার ভাই আব্দুল মালিক চৌধুরী (৪৮), বোন নেওয়ারুন বেগম (৪০), ছোট ভাইর বৌ লিপি বেগম (৩২), ভাইয়ের ছেলে নাছির মিয়া (১৬)কে আহত করেছে।
তিনি আরো জানান, আমি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকাতে তারা আমার বাড়িঘরে রাতের আঁধারে আগুন লাগিয়ে দেয়, এলাকাবাসী এসে আগুন নিভাতে সাহায্য করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে মালম মিয়াকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি মারামারি ও আগুন লাগানোর কথা অস্বিকার করে বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে কথার কটাকাটি হয়েছে।
ইউপি মেম্বার মোতাহির আলি জানান, আমি ঘটনা জানার পর উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করছি।